Voip Mobile Services
VoIP Reseller Panels of shafiur rahman where you can trust. Best quality VoIP resellers level # 3, 2, 1 available with good price to make customer happy
Wednesday, December 11, 2013
কাদের মোল্লার চিঠি
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে কিছু দিন জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার সঙ্গে একসঙ্গে কেটেছিল ক্ষমতসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির।
বুধবার বিকেলে তারই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন রনি। আরটিএনএন পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-
কাদের মোল্লার উস্তাভাজি- ডাল, বৈকালিক গান এবং একটি চিরকুটের ইতিকথা...
ছোট্ট একটি ব্যক্তিগত দায় থেকে আজকের লেখাটির অবতারণা। কাশিমপুর জেল থেকে মুক্তির দিন সকালেই ঘটলো ঘটনাটি। মুক্তি লাভের আশা আর জেল গেটে পুনরায় গ্রেপ্তার হবার আশঙ্কার দোলা চলে দুলতে দুলতে আমি আমার মালপত্র গুছাচ্ছিলাম। এমন সময় লুঙ্গি পরা এক ব্যক্তি আমার রুমে ঢুকে সালাম দিলো এবং বললো- কাদের মোল্লা সাহেব আপনাকে একটি চিঠি দিয়েছেন। মুহূর্তের মধ্যে আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লাম। সিদ্বান্ত নিতে পারছিলাম না, চিঠিটি কি গ্রহণ করবো না ফেরত পাঠাবো। এরই মধ্যে আগন্তুক টেবিলের ওপর চিঠিটি রেখে তড়িৎ গতিতে চলে গেলেন। আমি কম্পিত হস্তে চিঠিটি খুললাম। একটি ছেড়া ছোট কাগজে ৩/৪টি বাক্য লিখেছেন কাদের মোল্লা। কিন্তু বাক্যগুলোর তীর্যক অভিব্যক্তি আমাকে যারপরনাই আহত করলো। সেই চিরকুটের ইতি কথা বলার পূর্বে আরো কিছু প্রসঙ্গ পাঠকগণকে জানাতে চাই-
কাসিমপুর জেলে ঢোকার পর পরই আমার জেলমেটগণের নিকট কাদের মোল্লার সম্পর্কে বহু কথা শুনছিলাম হররোজ। বিশেষ করে খাবার টেবিলে তার সম্পর্কে আলোচনা হতো সব চেয়ে বেশি। ট্রাইব্যুনালের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হবার পূর্বে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী হিসেবে সুরমা সেলেই ছিলেন।
ডায়াবেটিসের রোগী। খাবার টেবিলে বসে প্রথমেই বলতেন কিছুই খাবেন না। তার পর একটার পর একটা খাবারের দিকে তাকাতেন। শিশুর মতো হাসি দিয়ে বলতেন মামুন- গোশতের রংটা বোধ হয় ভালই হয়েছে। তার পর মাহমুদুর রহমান সাহেবের দিকে তাকিয়ে বলতেন ঘ্রাণটাও তো চমৎকার। মীর কাশেম বা অন্য বন্দীদের দিকে তাকিয়ে এমন ভাব করতেন যেন কাদের মোল্লা সাহেবকে খাওয়ার জন্য একটু অনুরোধ করেন। এক সময় তিনি অনুরোধে সাড়া দিয়ে খাওয়া শুরু করতেন এবং হই-হল্লোড়, হাসি-তামাশা এবং নানা রকম গল্প উপাখ্যান বলে পুরো খাবার টেবিল মাতিয়ে রাখতেন। বিষন্ন বন্দীরা তাই কাদের মোল্লার উপস্থিতিটাকে এক ধরনের প্রশান্তি হিসেবে গণ্য করতো।
অমি যখন জেলে ছিলাম তখন কাদের মোল্লা ছিলেন অন্য সেলে সাধারণ বন্দীদের মতো। যুদ্ধাপরাধের সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে তার প্রতি ছিলো জেল কর্তৃপক্ষের সতর্ক প্রহরা। ফলে প্রতি বিকেলে পাশাপাশি সেলের বন্দীরা নিজেদের সীমানা প্রচীরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কথাবার্তা বলার চেষ্টা করতো আবার পুরোনো বন্দীদের কেউ কেউ রাস্তায়ও বের হয়ে আসতো। কিন্তু কাদের মোল্লাকে সেই সুযোগ দেয়া হতো না। কাদের মোল্লার সেবক সকাল-বিকেলে আমাদের সেলে আসতো ফ্রিজ থেকে ইনসুলিন নেবার জন্য। জেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কে বা কারা যেনো সুরমা সেলে ছোট্ট একটি ফ্রিজ বসিয়েছিলো কেবল মাত্র কাদের মোল্লার ওষুধপত্র রাখার জন্য। সেই ফ্রিজে কাদের মোল্লার ডায়াবেটিসের ওষুধপত্র থাকতো। সেবক যখন ওষুধ নিতে আসতো তখন তার নিকট থেকে কাদের মোল্লা সম্পর্কে টুকটাক জানতে পারতাম।
বন্দী জীবনের নিরন্তর সময় যেনো আর কাটতে চাইতো না। ফলে আমরা সময় টুকুকে যথাসম্ভব আনন্দমূখর করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতাম। যার যতো জ্ঞান বা প্রতিভা ছিলো- সবই উজার করে দিতাম সহযাত্রীদেরকে আনন্দ দেবার জন্য। একদিন বিকেলে বসেছিলাম সুরমা সেলের বারান্দায়। পাশাপাশি চেয়ার নিয়ে আমরা সবাই- গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, মাহামুদুর রহমান, মীর কাশেম আলী আর এটিএম আজাহার। হঠাৎ নীরব হয়ে গেলাম অজানা কারণে। অর্থ্যাৎ বলার মতো কোন কথা ছিলো না কারো মুখে। হঠাৎ মামুনই বলে উঠলো- এই সময় মোল্লা ভাই থাকলে আমাদের সবাইকে গান শোনাতেন। জামায়াতের লোক আবার গান গায় নাকি- মনে মনে টিটকারী কেটে জিজ্ঞাসা করলাম- কী গান গাইতেন? রবীন্দ্র সঙ্গীত- অসাধারণ তার গায়কী গলা আর সুরের ঢং- মাহমুদুর রহমান বললেন।
আমি নিজে টুকটাক গাইতে জানি। তাই প্রস্তাব করলাম কিছু একটা গাওয়ার জন্য। তারা আগ্রহ দেখালে আমি একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইলাম- ‘মনে কি দ্বিধা রেখে গেলে চলে’। সবাই শুনলেন এবং প্রশংসা করলেন। তবে একথা বললেন যে, আমার চেয়েও কাদের মোল্লা সুন্দর করে গান করেন। তার গান পরিবেশনের সময় তিনি উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে এমনভাবে চোখের ভাব বিনিময় করেন যে শ্রোতাগণ তার সঙ্গে গুণগুনিয়ে কণ্ঠ মেলাতে বাধ্য হন। ফলে পুরো অনুষ্ঠান হয়ে উঠে প্রাণবন্ত। অন্যদিকে আমি গান করি চোখ বুঝে। যখন আমার সঙ্গী-সাথীগণ যখন আমাকে চোখ খোলা রেখে আরো একটি গান গাইতে অনুরোধ করলেন তখন আমি ভারী লজ্জা পেয়ে গেলাম এবং আর এগোতে পারলাম না। ফলে তারা আবার পুনরায় কাদের মোল্লার প্রশংসা করতে থাকলেন।
একদিন আমরা সকলে খাবার টেবিলে বসে দুপুরের খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সেবকরা তখন খাবার পরিবেশনের জন্য এঞ্জাম করছিল। এমন সময় কাদের মোল্লার সেবক এসে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের নিকট ছোট একটি চিঠি ধরিয়ে দিল। চিঠিটি পড়ার পর মামুনের মুখমণ্ডল ক্ষোভ, লজ্জা আর রাগে লাল হয়ে গেল। এরপর সে চিঠিটি মীর কাশেম আলীর হাতে দিল। কাশেম সাহেব চিঠিটি পড়ে কাঁদতে আরম্ভ করলেন। আমার হাতে যখন চিঠিটি এলো তখন দেখলাম কাদের মোল্লা লিখেছেন-
প্রিয় মামুন,
সালাম। নিতান্ত বাধ্য হয়েই তোমার সেবক মতির বিরুদ্ধে তোমার নিকট নালিশ জানালাম। ইদানীং কোনো জানি আমার বেশি বেশি ডাল আর উস্তা ভাজি খেতে ইচ্ছে করে। আমার নিজের অর্থ দিয়ে এসব কিনে খাওয়া যে সম্ভব নয় তা তুমি জানো। তুমি আমার জন্য এ যাবৎ অনেক কিছু করেছ- আর তাই তোমার ওপর অজানা এক অধিকার জন্ম নিয়েছে। সেই অধিকার বলে আমার সেবককে বলেছিলাম চোখায় (রান্না ঘরে) যখন খাবার ভাগাভাগি হয়, তখন মামুনদের ভাগ থেকে একটু ডাল আর উস্তা ভাজি বেশি করে নিও আমার জন্য। কিন্তু তোমার সেবক আমাকে এই সুযোগ দেয়নি। জীবন-মৃত্যুর শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে এই অভাগা তার ছোট ভাইয়ের নিকট একটু ডাল আর উস্তা ভাজি চেয়ে যদি অন্যায় করে থাকি তবে মাফ করে দিয়ো। ইতি-
চিঠি পড়ে আমরা সবাই স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। মাহমুদুর রহমান সাহেব বললেন- কাল থেকে মোল্লা সাহেবের জন্য আলাদা ডাল আর উস্তা ভাজি রান্না হবে। সব বিল আমি দেব। মামুন ক্রোধে কাঁপছিল আর সেবককে শাসাচ্ছিল। আর অন্যরা এক ধরনের বিষন্নতার নষ্টালজিয়ায় ভুগতে লাগলাম।
এবার আমি বলছি- আমার কাছে লিখা কাদের মোল্লার চিরকুট কাহিনী। তিনি লিখেছেন-
প্রিয় রনি,
যদি কখনও সময় পাও এবং তোমার ইচ্ছা হয়, তবে আমার ফাঁসির পর একবার হলেও বলো বা লিখো- কাদের মোল্লা আর কসাই কাদের এক ব্যক্তি নয়। আমার আত্মা কিয়ামত পর্যন্ত কাঁদবে আর কসাই কাদের তখন কিয়ামত পর্যন্ত অট্টহাসি দিবে।
কাদের মোল্লার চিঠি | রাজনীতি | Rtnn.net
Saturday, December 7, 2013
টুডে ব্লগঃ মওত ও জানাযা , ( দয়া করে লেখাটি ফেসবুকে শেয়ার করুন )
আমাকেও তো একদিন গোসল দেওয়া হবে, কাফন পরানো হবে। আমারও তো জানাযা হবে, দাফন হবে। অন্ধকার কবরে আমাকেও তো ঈমানের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। আমারও কবরে ফেরেশতা আসবে, জান্নাত-জাহান্নাম আমারও সামনে তুলে ধরা হবে। হায়! সেদিন আমার কী অবস্থা হবে?
তাই তো দয়ার নবী পূর্ব থেকে সতর্ক করে বলেছেন-
عودوا المرضى وأتبعوا الجنائز يذكركم الآخرة
তোমরা রোগীদের দেখতে যাও এবং জানাযার পিছনে পিছনে গমন কর। এটা তোমাদেরকে আখেরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিবে।-মুসনাদে আহমদ ৩/২৩, হাদীস : ১১১৮০
সাহাবা-তাবেয়ীন কোনো মৃতকে দেখলে, কারো জানাযায় শরীক হলে মৃত্যু ও মৃতের চিন্তা তাদের উপর এমনই প্রভাব ফেলত যে, অনেকদিন পর্যন্ত তাদের চেহারায় তা দৃশ্যমান থাকত।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বর্ণনা করেন
كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا شهد جنازة رؤيت كآبة وأكثر حديث النفس.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কেনো জানাযায় হাজির হতেন তখন পেরেশানী ও বিষণ্ণতা তাঁকে আচ্ছন্ন করত এবং তিনি খুব বেশি চিন্তামগ্ন হয়ে যেতেন।-আলমু’জামুল কাবীর তাবারানী ১১১
হযরত আব্দুল আযীয ইবনে আবি রাওয়াদ বর্ণনা করেন :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো জানাযায় শরীক হতেন তখন খুব নিশ্চুপ থাকতেন এবং চিন্তায় ডুবে যেতেন।
বর্ণনাকারী বলেন : সাহাবায়ে কেরাম মনে করতেন, তিনি এসময় মৃতকে নিয়ে ভাবতেন-সে এখন কী-পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে এবং কী তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে।-কিতাবুয যুহদ, আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক পৃ. ১০৭
একবার হযরত আবু সায়ীদ খুদরী রা. হযরত আলী রা. কে জানাযা সংক্রান্ত বিষয় জিজ্ঞাসা করলেন। হযরত আলী রা. বললেন, আবু সায়ীদ, যখন আপনি আপনার মুসিলম ভাইয়ের জানাযার সাথে চলবেন তখন নিশ্চুপ থাকুন, এবং মনে মনে ভাবুন আপনার অবস্থাও তার মতো হয়েছে। সে ছিল আপনারই ভাই, যে আপনার সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিল। আজ সে নিঃস্ব-বিপর্যস্ত হয়ে বিদায় নিয়েছে, নেক আমল ছাড়া আজ তার কোনো পুঁজি নেই।-মুসনাদে বাযযার, হাদীস : ৮৩৯
হযরত অয়েশা রা. বিশিষ্ট সাহাবী হযরত উসাইদ ইবনে হুযায়র রা. এর একটি বাণী বর্ণনা করেন : উসাইদ ইবনে হুযায়র ছিলেন শ্রেষ্ঠ মানুষদের একজন। তিনি বলেন : তিনটি সময়ে আমার যে অবস্থা হয় যদি সর্বদা ঐ অবস্থায় থাকতে পারতাম তাহলে নিশ্চিত হতাম যে, আমি একজন জান্নাতী মানুষ। যখন আমি কুরআন তেলাওয়াত করি বা কারো তেলাওয়াত শুনি; যখন আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বয়ান শুনি আর যখন কারো জানাযার নামাযে উপস্থিত হই। যখনই আমি কারো জানাযার নামাযে উপস্থিত হয়েছি তখন এ ভাবনাই আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে যে, এখন এই মৃতের পরিণাম কী হবে এবং তার সাথে কী আচরণ করা হবে।-কিতাবুয যুহদ পৃ. ১০৭
প্রসিদ্ধ তাবেয়ী হযরত মুতাররিফ ইবনে শিখখীর সম্পর্কে হযরত বুদাইল রাহ. বলেন, হযরত মুতাররিফ রাহ. জানাযায় গেলে এতই চিন্তামগ্ন থাকতেন যে, সেখানে ঘনিষ্ঠ কারো সাথে সাক্ষাৎ হলেও শুধু সালাম দিতেন এবং নিজের চিন্তায় ডুবে যেতেন।-কিতাবুয যুহদ পৃ. ১০৮
বিশিষ্ট তাবেয়ী ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন, তারা অর্থাৎ সাহাবা কেরাম এবং প্রবীণ তায়েবীগণ জানাযায় শরীক হলে কয়েকদিন পর্যন্ত চিন্তাগ্রস্ত থাকতেন যা তাদের মাঝে দৃশ্যমান থাকত।
ইমাম আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক রাহ.-এর ‘কিতাবুয যুহদ’-এ একটি অধ্যায় আছে, যার শিরোনাম
باب التفكر في اتباع الجنائز
(জানাযার অনুসরণের সময় চিন্তা করা)। তাঁর এক ছাত্র নুআইম রাহ বলেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক যখন এ অধ্যায়টি পড়াতেন তখন তার এমন অবস্থা হত যে, আমরা কেউ তার কাছে যেতে পারতাম না, তাকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসাও করা যেত না, তিনি এমন ছটফট করতেন যেমন সদ্য জবাইকৃত গরু ছটফট করে।-কিতাবুয যুহদ (টিকা) পৃ. ১০৭
আপাতত এ কয়েকটি হাদীস-আসার উল্লেখ করেই বিষয়টির ইতি টানছি। এগুলো থেকেই সালাফের অবস্থা দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার হয়ে উঠে।
কিন্তু আমাদের অবস্থা এর বিপরীত। মৃতকে সামনে নিয়ে হৈচৈ, তর্ক-বিতর্ক, গীবত-শেকায়েতেও লিপ্ত হয়ে পড়ি।
অথচ আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য মৃত্যুর চেয়ে অধিক কার্যকরী আর কোনো বিষয় নেই। আল্লাহ আমাদের হৃদয় ও মস্তিষ্ককে জীবন্ত করে দিন এবং তাঁর খাঁটি বান্দাদের অনুসরণের তাওফীক আমাদেরকে দান করুন। আমীন। ইয়া রাববুল আলামীন।
কপি-পেষ্টঃ টুডে ব্লগঃ মওত ও জানাযা
তাই তো দয়ার নবী পূর্ব থেকে সতর্ক করে বলেছেন-
عودوا المرضى وأتبعوا الجنائز يذكركم الآخرة
তোমরা রোগীদের দেখতে যাও এবং জানাযার পিছনে পিছনে গমন কর। এটা তোমাদেরকে আখেরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিবে।-মুসনাদে আহমদ ৩/২৩, হাদীস : ১১১৮০
সাহাবা-তাবেয়ীন কোনো মৃতকে দেখলে, কারো জানাযায় শরীক হলে মৃত্যু ও মৃতের চিন্তা তাদের উপর এমনই প্রভাব ফেলত যে, অনেকদিন পর্যন্ত তাদের চেহারায় তা দৃশ্যমান থাকত।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বর্ণনা করেন
كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا شهد جنازة رؤيت كآبة وأكثر حديث النفس.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কেনো জানাযায় হাজির হতেন তখন পেরেশানী ও বিষণ্ণতা তাঁকে আচ্ছন্ন করত এবং তিনি খুব বেশি চিন্তামগ্ন হয়ে যেতেন।-আলমু’জামুল কাবীর তাবারানী ১১১
হযরত আব্দুল আযীয ইবনে আবি রাওয়াদ বর্ণনা করেন :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো জানাযায় শরীক হতেন তখন খুব নিশ্চুপ থাকতেন এবং চিন্তায় ডুবে যেতেন।
বর্ণনাকারী বলেন : সাহাবায়ে কেরাম মনে করতেন, তিনি এসময় মৃতকে নিয়ে ভাবতেন-সে এখন কী-পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে এবং কী তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে।-কিতাবুয যুহদ, আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক পৃ. ১০৭
একবার হযরত আবু সায়ীদ খুদরী রা. হযরত আলী রা. কে জানাযা সংক্রান্ত বিষয় জিজ্ঞাসা করলেন। হযরত আলী রা. বললেন, আবু সায়ীদ, যখন আপনি আপনার মুসিলম ভাইয়ের জানাযার সাথে চলবেন তখন নিশ্চুপ থাকুন, এবং মনে মনে ভাবুন আপনার অবস্থাও তার মতো হয়েছে। সে ছিল আপনারই ভাই, যে আপনার সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিল। আজ সে নিঃস্ব-বিপর্যস্ত হয়ে বিদায় নিয়েছে, নেক আমল ছাড়া আজ তার কোনো পুঁজি নেই।-মুসনাদে বাযযার, হাদীস : ৮৩৯
হযরত অয়েশা রা. বিশিষ্ট সাহাবী হযরত উসাইদ ইবনে হুযায়র রা. এর একটি বাণী বর্ণনা করেন : উসাইদ ইবনে হুযায়র ছিলেন শ্রেষ্ঠ মানুষদের একজন। তিনি বলেন : তিনটি সময়ে আমার যে অবস্থা হয় যদি সর্বদা ঐ অবস্থায় থাকতে পারতাম তাহলে নিশ্চিত হতাম যে, আমি একজন জান্নাতী মানুষ। যখন আমি কুরআন তেলাওয়াত করি বা কারো তেলাওয়াত শুনি; যখন আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বয়ান শুনি আর যখন কারো জানাযার নামাযে উপস্থিত হই। যখনই আমি কারো জানাযার নামাযে উপস্থিত হয়েছি তখন এ ভাবনাই আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে যে, এখন এই মৃতের পরিণাম কী হবে এবং তার সাথে কী আচরণ করা হবে।-কিতাবুয যুহদ পৃ. ১০৭
প্রসিদ্ধ তাবেয়ী হযরত মুতাররিফ ইবনে শিখখীর সম্পর্কে হযরত বুদাইল রাহ. বলেন, হযরত মুতাররিফ রাহ. জানাযায় গেলে এতই চিন্তামগ্ন থাকতেন যে, সেখানে ঘনিষ্ঠ কারো সাথে সাক্ষাৎ হলেও শুধু সালাম দিতেন এবং নিজের চিন্তায় ডুবে যেতেন।-কিতাবুয যুহদ পৃ. ১০৮
বিশিষ্ট তাবেয়ী ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন, তারা অর্থাৎ সাহাবা কেরাম এবং প্রবীণ তায়েবীগণ জানাযায় শরীক হলে কয়েকদিন পর্যন্ত চিন্তাগ্রস্ত থাকতেন যা তাদের মাঝে দৃশ্যমান থাকত।
ইমাম আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক রাহ.-এর ‘কিতাবুয যুহদ’-এ একটি অধ্যায় আছে, যার শিরোনাম
باب التفكر في اتباع الجنائز
(জানাযার অনুসরণের সময় চিন্তা করা)। তাঁর এক ছাত্র নুআইম রাহ বলেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক যখন এ অধ্যায়টি পড়াতেন তখন তার এমন অবস্থা হত যে, আমরা কেউ তার কাছে যেতে পারতাম না, তাকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসাও করা যেত না, তিনি এমন ছটফট করতেন যেমন সদ্য জবাইকৃত গরু ছটফট করে।-কিতাবুয যুহদ (টিকা) পৃ. ১০৭
আপাতত এ কয়েকটি হাদীস-আসার উল্লেখ করেই বিষয়টির ইতি টানছি। এগুলো থেকেই সালাফের অবস্থা দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার হয়ে উঠে।
কিন্তু আমাদের অবস্থা এর বিপরীত। মৃতকে সামনে নিয়ে হৈচৈ, তর্ক-বিতর্ক, গীবত-শেকায়েতেও লিপ্ত হয়ে পড়ি।
অথচ আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য মৃত্যুর চেয়ে অধিক কার্যকরী আর কোনো বিষয় নেই। আল্লাহ আমাদের হৃদয় ও মস্তিষ্ককে জীবন্ত করে দিন এবং তাঁর খাঁটি বান্দাদের অনুসরণের তাওফীক আমাদেরকে দান করুন। আমীন। ইয়া রাববুল আলামীন।
কপি-পেষ্টঃ টুডে ব্লগঃ মওত ও জানাযা
Saturday, November 26, 2011
Tuesday, September 13, 2011
CHOICE IS YOURS, SERVICES ARE OURS
Switch to PC View
Reseller Panel-1
Reseller Panel-2
Download Dialers
Go to CDR Link
_______________________
Open old Reseller Panel
Open new Reseller Panel
Download new Dialer
Download old Dialer
Go to CDR Link
_________________________
Open Master User Panel
Open User Panel
Open Sub User Panel
Download Dialer
Download PC2Phone Dialer
Go to CDR Link
________________________
Open Master User Panel
Open User Panel
Open Sub User Panel
Download Dialer
Go to CDR Link
_______________________
Open Reseller Panel
Download Dialer
Download PC2Phone Dialer
Go to CDR Link
_______________________
Open Master User Panel
Open User Panel
Open Sub User Panel
Download Dialer
Download PC2Phone Dialer
Go to CDR Link
_______________________
Open Master User Panel
Open User Panel
Open Sub User Panel
Download Dialer
Go to CDR Link
_______________________For other inquiry please call:
+966503890348 / +966567191475 /+8801820252125
Send mail to ondecent@gmail.com
Add ondecent@yahoo.com for instant messaging.
Subscribe to:
Posts (Atom)